হঠাৎ করে খান্ডালা

সাংঘাতিক অলস মানুষদের মাথায় মাঝে মধ্যে ভুত চাপলে যা হয় আর কি।এক সকালে, ১০টায় ঘুম থেকে উঠে প্ল্যান হলো খান্ডালা যাওয়ার। ১১টায় গাড়ি ভাড়া করে, বেড়িয়ে পড়া গেলো।

পুণে থেকে খান্ডালা যাওয়ার রাস্তা এতটায় মনোরম যে কখন খান্ডালার টাইগার ভ্যালিতে পৌঁছোলাম বুঝতেই পারিনি। কিন্তু ঘড়ি বলছে ১তা বাজলো বলে। মাথার ওপর সূর্য দাউ-দাউ করে জ্বলছে।গাড়ি থেকে নামব কি না ভাবছি। এমন সময় চোখ গেলো সামনে আর আমরা দেখলাম, যেন পাহাড়ের দল সারি সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে সবুজ-খয়েরী কার্পেট পেতে। কিছুটা যেন আমাদের করার জন্যই । তারপরে কি আর না নেমে উপায় থাকে?

পাহাড়ের মাথায় দিব্বি সুন্দর হওয়াতে আমরা গিয়ে বসলাম একটা পার্ক-এর মধ্যে।

বেশ কিছুক্ষন ওখানে কাটিয়ে আমরা এগোলাম Pawna Lake-এর দিকে।তখন প্রায় ৩টে বেজে গেছে। যদিও ওটা Lake, কিন্তু যত দুরেই দৃষ্টি যাক না কেনো , জল ছাড়া কিচ্ছু দেখা যাবে না।

সন্ধ্যে হওয়া পর্যন্ত আমরা ওখানেই সময় কাটালাম। সূর্য যেন পুরো Dam-এর জলকে রাঙিয়ে দিয়ে অস্ত যাচ্ছিলো।

কখন যে ফেরার সময় হয়ে এলো, হিসেব রাখতে পারিনি আমরা। অবশেষে গাড়িতে উঠে, পাহাড়ের বাড়ি ছেড়ে নিজের বাড়ির দিকে রওনা হলাম।
দুটো পাহাড়ের মাঝখানে যে সংকীর্ণ রাস্তা দিয়ে আমরা ফিরলাম, রইলো তার ছবি।

9 thoughts on “হঠাৎ করে খান্ডালা

Leave a comment